মানবিক কারণে এবং ছাত্রলীগের নেতাদের অনুরোধে নিজের শেষ কর্মদিবসে শিক্ষকসহ ১৩৭ পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্যবিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহান। স্থগিত হওয়া সেই নিয়োগপ্রাপ্তদের তালিকায় আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সন্তান-স্ত্রী, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে একাধিক সাংবাদিক নেতা ও তাদের স্বজন। এই নিয়োগ নিয়ে তদন্ত করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি। ফলে এই নিয়োগ টিকবে কি না প্রশ্ন দেখা দিয়েছে?
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম খান অভিযোগ করেন, গত ৬ মে ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক আবদুস সোবহানের শেষ কর্মদিবস। শেষ দিনে তিনি ১৩৭ জনের অস্থায়ী নিয়োগে স্বাক্ষর করে যান। শিক্ষকদের স্ত্রী-সন্তান, স্বজনরা নিয়োগ পেয়েছেন। বাদ যাননি সাংবাদিক নেতা ও তাদের স্বজনরাও।
ছাত্রলীগের ২৫ পরিচিত মুখও আছেন নিয়োগপ্রাপ্তদের তালিকায়। শেষ সময়ে আবদুস সোবহান নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রলীগ। তবে সদ্য সাবেক উপাচার্য অভিযুক্ত অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান দাবি করেছেন, তিনি কারো চাপে নয়, মানবিক কারণে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের চাকরি দিয়েছেন।
ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা জানান, শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হলেও জানেন না বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটির সদস্যরাও। এই ১৩৭ জনের নিয়োগকে অবৈধ ও বিধিবহির্ভূত বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির প্রধান ড. মুহাম্মদ আলমগীর জানিয়েছেন, তারা খুব দ্রুতই প্রতিবেদন জমা দেবেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত ১৩৭ জনের নিয়োগ সংক্রান্ত কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।